খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার যমুনা রোডের মালার গ্যারেজের সামনে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৪টার দিকে দিনে-দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হোসেনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহত ফরহাদ হোসেন (৪৮) উত্তর কাশিপুর এলাকার আকমান শেখের ছেলে। আহত অন্যরা হলেন, ফরহাদের ড্রাইভার মো. মনিরুল ইসলাম এবং ম্যানেজার মো. সোহেল। আহত তিনজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন। ফরহাদের বাম কানের নতি এবং মাথার ডান পাশের চামড়ায় গুলির ছরা লেগেছে, তবে তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে জ্বালানি তেল ডিপো যমুনা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ফরহাদ হোসেন ও তার সঙ্গীরা। এসময় একটি পিকআপ তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পিকআপের সামনের সিটে থাকা এক ব্যক্তি শর্টগান বের করে গুলি চালানোর চেষ্টা করলে ড্রাইভার মনিরুল ইসলাম বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত গাড়িটি ব্যাক গিয়ারে পেছনের দিকে চালাতে থাকে।
এ সময় পিকআপ থেকে নেমে তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা ছয় যুবক তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এক কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করে। শেষ পর্যন্ত গাড়িটি মেঘনা হয়ে ফরহাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গুলির ছরায় মনিরুল ইসলামের বাম হাতে এবং ম্যানেজার সোহেলের পিঠে আঘাত লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, হামলাকারীদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। সন্ত্রাসীরা ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ির কাচ ভেদ করে গুলি চালিয়েছে। তিনজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”
দুপুরের ব্যস্ত সময়ে মহানগরীর অভ্যন্তরে এমন সন্ত্রাসী হামলায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত। অনেকেই মনে করছেন, খুলনায় অপরাধ চক্র ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরেই এ হামলা হয়ে থাকতে পারে।