/ সচিবালয়ে অচলাবস্থা

সচিবালয়ে অচলাবস্থা

#দেশজুড়ে কর্মসূচির ডাক # ২৫টি ক্যাডারের কলমবিরতি # সংস্কারবিরোধী আমলাদের অপসারণে কর্মসূচি ঘোষণা

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে গতকাল সোমবারও বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। বেলা আড়াইটার দিকে কর্মসূচি শেষ করে আজ মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গতকাল কর্মসূচি থেকে সচিবালয়ের বাইরে দেশের সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদেরও একই কর্মসূচি পালনের আহŸান জানানো হয়। সচিবালয়ের সব কর্মচারী সংগঠন একত্র হয়ে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ নামে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় জমায়েত হবেন তারা। এদিকে সচিবালয়ের সংস্কারবিরোধী আমলাদের অপসারণ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে গণসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ‘জুলাই বিপ্লবী ছাত্র-জনতা’। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে (ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে) এ সমোবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে এনসিপির নেতা আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ‘জালিম আমলাতন্ত্রের উৎখাত এবং জনগণপন্থী ও সেবাধর্মী নতুন সরকার যন্ত্র নির্মাণ।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের সকল বিপ্লবী ভাই-বোন, কমরেডদের আহŸান, চূড়ান্ত লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে! জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষায় ব্র্যান্ড নিউ বাংলাদেশ আমরা আনবই ইনশাআল্লাহ!
গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো.বাদিউল কবীর বলেন, ‘কর্মসূচি ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ‘কালো’ আইন বা অধ্যাদেশ বাতিল সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না করা হবে। এই আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে চলমান কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।’ তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় সমবেত হওয়ার আহŸান জানান। তিনি আরও বলেন, গতকাল সোমবার আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সঙ্গে একটি বৈঠকের কথা থাকলেও রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে সেটি হয়নি। নতুন সময় নির্ধারণ হলে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেকাংশের সভাপতি মুহা. নূরুল ইসলাম বলেন, সারা দেশের কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদনের পর রোববার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদনের পর থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এই আন্দোলন চলার মধ্যেই রোববার সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। এ নিয়ে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন কর্মচারীরা। এ অবস্থায় অধ্যাদেশটি প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী মিছিল করে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় জমায়েত হন। এরপর তারা সচিবালয়ের ভেতর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে সমাবেশ করেন। এরপর আবারও মিছিল নিয়ে বাদামতলায় জমায়েত হন তাঁরা। একপর্যায়ে সচিবালয়ের মূল ফটকের কাছে যান তাঁরা। এ সময় প্রধান ফটকসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটক বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সরে এসে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আসেন কর্মচারীরা। সেখানেই বেলা আড়াইটায় আজ মঙ্গলবার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে এ অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় সচিবালয়ের নিরাপত্তার জোরদার করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সচিবালয়ে।
অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হলে গতকাল সচিবালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। এদিন বেলা পৌনে ১১টা দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে তাদের সঙ্গে নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিষদের অপর অংশও যুক্ত হয়। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিক্ষোভে অংশ নিতে কাজ ফেলে নিচে নেমে এসেছেন। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এর আগে সংযুক্ত পরিষদের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা হবে এবং এটা যদি মাঠে নেমে, দফতরের দাঁড়িয়ে না করা যায়, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন কর্মকর্তারা। সরকার এভাবে একটি আইনকে নিবর্তনমূলক করতে পারে না।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদের মধ্যেই রোববার রাতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীর ‘অসদাচরণ’ প্রমাণিত হলে কেবল নোটিশ জারির মাধ্যমেই তাকে নি¤œপদ বা নি¤œবেতন গ্রেডে অবনমিত, চাকরি থেকে অপসারণ অথবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে। একই দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মতামত, সুপারিশ দেওয়া সংক্রান্ত ‘সরকারি কর্মচারীগণের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি’ পুনর্গঠন করেছে।
এদিকে বিক্ষোভরভ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। সচিবালয়ে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া কর্মচারীদের একটি সংগঠনের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারের উচিত ছিল নিবর্তনমূলক আইন করার আগে, মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশে ওঠার আগে আলোচনা করা। সেটি না করে সরকার এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মচারীদের এ ধরনের আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শক্ত অবস্থান নিতে আইনে এই পরিবর্তন আনল। এই আইনের ফলে সরকারি চাকরিজীবীরা জোটবদ্ধভাবে দাবি-দাওয়া করতে পারবেন না। সমাবেশে অংশগ্রহণ, জরুরি হলেও ছুটি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। ফলে অধস্তনরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অধ্যাদেশে যা আছে : অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘিœত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তাঁর কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দÐিত হবেন। অধ্যাদেশে এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছে, দোষী কর্মচারীকে নি¤œপদ বা নি¤œ বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া, চাকরি হতে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দÐ দেওয়া যাবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে কেন দÐ আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তার ভিত্তিতে দÐ আরোপ করা যাবে। এভাবে দÐ আরোপ করা হলে দোষী কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা যাবে। বর্তমানে দেশে ১৫ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। আইন অনুযায়ী সবাই কর্মচারী।
দাবি আদায়ে আজ মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী কলমবিরতি কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে প্রশাসন ক্যাডার বাদে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে এবং ‘কৃত্য পেশাভিত্তিক’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে কোটা বাতিল ও সব ক্যাডারের মধ্যে সমতা আনার দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হবে। আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি পালন করবেন। গতকাল সোমবার আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য জরুরি সেবা কার্যক্রম এই কলমবিরতি কর্মসূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সা¤প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে আটকে রাখা হয়েছে। উপরন্তু স¤প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বিধিবিধান–বহির্ভূত কার্যকলাপের পরও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের গোষ্ঠীস্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পদে কোটা নিয়ে যে সুপারিশ করেছে, তা নিয়েও আপত্তি জানিয়ে পরিষদ বলেছে, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সব দাবিতে এর আগে ২০ মে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫ ক্যাডারের সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া গত ২ মার্চ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে ১ ঘণ্টার কলমবিরতি কর্মসূচি ও ২৬ ডিসেম্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।