দু,গ্রামের শতাধিক পরিবার ঝুঁকির সম্মুখিন
শেখ মনিরুল ইসলাম: দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আতাই নদী ভাংগনে ১০টি বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। দু,গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার রয়েছে ঝুঁকির সম্মুখিন। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শতাধিক পরিবার।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের আবালগাতী ও ডোমরা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত আতাই নদী। নদীর পাশে প্রায় দেড় থেকে দু,শতাধিক পরিবারের বসবাস। সল্প আয়ের পরিবার গুলো কৃষি আবাদসহ ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দিনে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রাতে নদী ভাঙ্গনের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। ইতিমধ্যে গোলক অধিকারী, শৈলেন বিশ্বাস, মিনতী বিশ্বাস, মহিদুল কাজীসহ ৮/১০টি পরিবারের বসতবাড়ি আতাই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে শৈলেন বিশ্বাস বলেন, আতাই নদী কূলে আমাদের বসবাস। হঠাৎ করে আতাই নদী ভাঙ্গনে আমার বসতবাড়িসহ শষ্যক্ষেত ফলজ ও বনজ বৃক্ষ এবং পানের বরজ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে যেখানে বসবাস করছি এটুকুও যেকোনো সময় নদীতে ভেঙ্গে যেতে পারে।
নদী তীরে বসবাসকারী বিধান বিশ্বাসের স্ত্রী মিতা বিশ্বাস বলেন, এখানে
আমাদের বসতবাড়িসহ ৬টি পরিবার নদী গর্ভে চলে গেছে। নদীতে ভেসে যাওয়া পরিবার গুলো অন্যত্র গিয়ে বসতি স্থাপন করছেন। আমাদের অন্যত্র গিয়ে বসতিস্থাপনের সামর্থ্য নেই।প্রতি রাতেই আমরা ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় রাত্রি যাপন করি। সব সময় মনে হয় এই বুঝি সর্বনাশা আতাই নদী ঘরবাড়িসহ আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা এখন যাবো কোথায়?
স্বামী, শ্বশুর যৌথভাবে এবাড়িতেই লোহা থেকে পেরেক তৈরি করে। পেরেক বিক্রি করে সামান্য আয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কোনো রকমের মোটা ভাত ও মোটা কাপড়ে সংসার চালায়। এই সামান্য উপার্জনে মোটামুটিভাবে সংসার চললেও নতুন করে অন্য কোথাও বসতি স্থাপন করা সম্ভব নয়।
গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সোহাগ মুন্সী জানান, আবালগাতী গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি, ফসলিজমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।