/ যুবদলকর্মী সোহাগ হত্যায় প্রকৃত খুনিরা বাদ, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খুলনা বিএনপির

যুবদলকর্মী সোহাগ হত্যায় প্রকৃত খুনিরা বাদ, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খুলনা বিএনপির

রাজধানীর চকবাজারে প্রকাশ্যে যুবদলকর্মী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় প্রকৃত খুনিদের বাদ দিয়ে মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ তুলেছে খুলনা মহানগর বিএনপি। দলটি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যার মাধ্যমে বিএনপিকে টার্গেট করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে।


রোববার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


বক্তারা বলেন, ঘটনার ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও মামলার মূল তিন আসামিকে বাদ দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরীহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। প্রকৃত খুনিদের রক্ষা করে বিএনপির ওপর ষড়যন্ত্রমূলক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ধরনের চক্রান্ত দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য অশনিসংকেত বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।


তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর খুলনায় হত্যাকাণ্ড শূন্য থাকলেও বর্তমান পুলিশ কমিশনার দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মাসে ২৮টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। দৌলতপুরে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে হত্যার পর তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। “কারা রগ কাটে, দেশের মানুষ তা জানে” এমন মন্তব্য করে বক্তারা দাবি করেন, পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না।


বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চক্রান্ত করছে এবং সেই চক্রান্তে সরকার সমর্থিত একটি গোষ্ঠী প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কাজে লাগাচ্ছে। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তদন্তে গাফিলতি হলে খুলনার মানুষ আর বসে থাকবে না।বক্তারা সরকার ঘোষিত চিরুনি অভিযানের প্রতি সমর্থন জানালেও নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার আহ্বান জানান।


সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, রেহানা ঈসা, এড. শেখ মো. আলী বাবু, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, শ্রমিকদলের মজিবর রহমানসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।