/ মোরেলগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসে রহস্যজনক চুরি, ফাইলপত্র তছনছ

মোরেলগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসে রহস্যজনক চুরি, ফাইলপত্র তছনছ

মোরেলগঞ্জ অফিস: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসে গভীর রাতে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই অফিসের সাধারণ শাখা কক্ষের আলমীরা, ওয়াড্রোব ভেঙে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র তছনছ করে ফেলে রেখে যায় দূর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে।

অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনিক চত্বর এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরে বুধবার অফিস সময় শেষে প্রতিদিনের ন্যায় কর্তৃপক্ষ অফিস বন্ধ করে চলে যায়। ওই রাতেই কার্যালয়ের মূল ফটকের হ্যাজবোল্ট কেটে পকেট গেট খুলে দুস্কৃতকারীরা অফিসের সাধারণ শাখা কক্ষের তালা ভেঙে ফাইল কেবিনেটের ৪টি ড্রয়ার ও আলমীরা রক্ষিত অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে ফেলে রেখে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে অফিস খুলতে এসে ওই অফিসের আউটসোর্সিং কর্মচারী মাজহারুল ইসলাম দেখতে পায় মূল গেটের তালা ভাঙা। কাগজপত্র থাকা কক্ষের ফাইলপত্র টেবিলের উপর ও মেঝেতে তছনছ অবস্থায় রয়েছে। তাৎক্ষনিক খবরটি কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদেরকে জানায় ওই কর্মচারী। অফিসের কার্যকারী সহকারী আমীর হামজা ও সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, অফিসের কর্মকর্তা জেলা মিটিং এ রয়েছেন। অফিস চুরির বিষয়টি সকালে তাদের একজন স্টাফ প্রথমে সংবাদ দেয়। তারা এসে দেখতে পায় ফাইলপত্র এলোমেলো অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে রয়েছে। কি কি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র খোয়া গেছে না দেখে বলা যাবেনা। তবে অফিসে কোন টাকা পয়সা ছিলোনা।

এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি সকালে জেলা মিটিংএ আসার পূর্বে অফিসের তালা ভাঙার বিষয়টি নজরে আসেনি। পরে অফিস সহকারী চুরির হয়েছে বলে তাকে জানিয়েছেন। তাৎক্ষনিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তবে দুস্কৃতকারীরা সরকারীভাবে পানির ট্যাংকি বিতরণে সরকার নির্ধারিত সুবিধাভোগীদের জমা প্রদানের ফি ১৫’শ ৫০টাকা অফিসে গচ্ছিত থাকতে পারে এমন ধারনায় এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতি সপ্তাহের টাকা ব্যাংকে জমা প্রদান করা হয়। তাদের অফিসে কোন নৈশ প্রহরী নেই। অফিসে কোন টাকা-পয়শা ছিলোনা। মালামাল ও কাগজপত্র কি খোয়া গেছে না দেখ আপাতত বলা যাচ্ছেনা।

এদিকে এ চুরির ঘটনা নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে। এর আগে ১মাস পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবনেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। যদিও সেসময় তিনি বাসায় ছিলেননা। প্রশাসনিক চত্বরে পরপর চুরির ঘটনার কোন ক্লু উদঘাটন হয়নি।