/ বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের পাশে জামায়াত ছিল আছে ও থাকবে

বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের পাশে জামায়াত ছিল আছে ও থাকবে

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে অধ্যাপক মাহফুজ

সমাজের যেকোন মানুষের প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামী মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় উল্লে¬খ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী সমাজের কল্যাণে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম কোন দলমত, ধর্মবর্ণের বিবেচনায় করে না। মানুষ হিসেবে সকল বঞ্চিত-শোষিত মানুষের পাশে জামায়াতে ইসলামী ছিল, আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।
গত শনিবার দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের চিত্রালী সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মুদি দোকানী মুহাম্মাদ আলী ও জহিরুল ইসলামের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর খালিশপুর থানাধীন ১০ নং ওয়ার্ডেও চিত্রালী সুপার মার্কেটে ২৯ মে (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অগ্নিকান্ডে মুহাম্মাদ আলী ও জহিরুল ইসলামের দু’টি মুদি দোকান ভশ্মিভুত হয়।
আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মোকাররম বিল¬াহ আনসারী, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল¬াহ আল মামুন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, জামায়াত নেতা মুনসুর আলম চৌধুরী, হামিদুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খালিশপুর থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ১০ নং ওয়ার্ড আমীর কাজী দেলোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি বিপ্ল¬ব হোসেন বাবু, আজিজুর রহমান, আরিফ বিল¬াহ, মাওলানা আসাদুজ্জামান, আব্দুল¬াহ আল মামুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মহানগরী আমীর বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি কর্মসূচি সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। সমাজ সেবার আওতায় জামায়াতে ইসলামী জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেহনতী মানুষের কল্যাণে মানবিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফার প্রথম দফা কর্মসূচি হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৈতিক ও ইসলামী শিক্ষা ব্যতিত সৎ, আদর্শবান, চরিত্রবান ও মানবিক মানুষ তৈরী করা যায় না। সে জন্য জামায়াতে ইসলামী নৈতিক ও ইসলামী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সংগঠনের কর্মীদের সৎ, দক্ষ, আদর্শবান, চরিত্রবান ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে। এ জন্যই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, লুটপাট, দুর্নীতি, দখলদারিত্ব করে না। জনগণকেই আগামীতে ভোটের মাধ্যমে এর প্রতিদান দিবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।