/ ফুলতলায় কলেজছাত্রী অপহরণ: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চারদিন পর উদ্ধার, আসামি কারাগারে

ফুলতলায় কলেজছাত্রী অপহরণ: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চারদিন পর উদ্ধার, আসামি কারাগারে

খুলনার ফুলতলায় কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৭) চারদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের মোবাইল ট্র্যাক করে খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত গোবিন্দ মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর ট্র্যাক করে বটিয়াঘাটা থানার পুলিশের সহায়তায় প্রথমে ভান্ডারকোট এলাকা থেকে এক যুবক বিল্লালকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানায়, মাত্র ৫ হাজার টাকায় সে ফোনটি কিনেছে অভিযুক্ত গোবিন্দ মন্ডলের কাছ থেকে। এরপর বিল্লালকে সঙ্গে নিয়ে হরিণটানা থানার সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে রাজবাথ হ্যাচারীর মোড়ে শেখ মশিউর রহমানের বাড়ি থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় গোবিন্দ মন্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (৩০ জুন) গোবিন্দ মন্ডলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ডাক্তার ফারজানা এ্যানির তত্ত্বাবধানে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে সেইফ কাস্টডিতে পাঠানো হয়।

ভিকটিম ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সে তার বসতবাড়ির সামনে অবস্থান করছিল। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত গোবিন্দ মন্ডল মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং গাড়াখোলা মাছ বাজারের দিকে চলে যায়।
ঘটনার পরপরই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পঠিয়াবান্দা গ্রামের নৃপেন মন্ডলের ছেলে গোবিন্দ মন্ডল (২০) ছাড়াও তার সহযোগী আবজাল খাঁর ছেলে আরাফাত খাঁ (৩৫), মনির (৪৫) এবং নৃতিশ মন্ডল (৪৫)–কে আসামি করা হয়।