পাকিস্তানের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণ, তীব্র ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৩ জন। এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে এটি দ্বিতীয়বারের মতো ভয়াবহ বৃষ্টি, যা দেশটির ঘরবাড়ি, ফসল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৪ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩ জন এবং পাঞ্জাবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজাদ কাশ্মীরের একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা হারুন রশিদ জানিয়েছেন, একটি গ্রামে ১২টি বাড়ি ও একটি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। এর আগে, শনিবার (২৪ মে) ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় তীব্র ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হন এবং ৯০ জনের বেশি আহত হন।দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানায়, ঝড়ো আবহাওয়া আগামী শনিবার (৩১ মে) পর্যন্ত দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে। নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যে পাকিস্তানে প্রকট হয়ে উঠেছে। শুধু বৃষ্টিপাতই নয়, এপ্রিল মাসে দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। অস্বাভাবিক তাপদাহের কারণে পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানের স্কুলগুলো আগেভাগেই গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে পাঠানো হয়।ক্রমবর্ধমান চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।