/ পনেরো বছরেও হয়নি সংস্কার, তেরখাদার রামমাঝি আড়ফাঙ্গাসিয়া রাস্তাটির বেহাল দশা

পনেরো বছরেও হয়নি সংস্কার, তেরখাদার রামমাঝি আড়ফাঙ্গাসিয়া রাস্তাটির বেহাল দশা

রাসেল আহমেদ,তেরখাদা (খুলনা): মাত্র ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রামমাঝি থেকে আড়ফাঙ্গাসিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি আজও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। তেরখাদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংস্কারের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। ইটের সলিং (এইচবিবি) দিয়ে নির্মিত রাস্তাটি আজ রীতিমতো জনদুর্ভোগের আরেক নাম।

বর্তমানে রাস্তাজুড়ে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত আর কাদার স্তূপ। বর্ষা মৌসুমে সেটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন এই পথ দিয়েই শত শত শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করেন; পণ্যবাহী ভ্যান-ইজিবাইকও যায় এই পথে। অথচ এতোদিনেও রাস্তাটির উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ও অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান (নান্নু), জনতা ব্যাংকের জিএম মো. মিজানুর রহমান (বাচ্চু মোল্লা), সাবেক সেনা সদস্য মো. তারেক হোসেন (পিলু মোল্লা), শিক্ষক মো. লিটু মোল্লা ও শিক্ষার্থী মো. রাশেদ মোল্লা জানান, “প্রায় ১৫ বছর আগে এই রাস্তায় ইট বসানো হয়েছিল। এরপর আর কোনো সংস্কার হয়নি। এখন অবস্থা এমন যে, হেঁটেও চলা যায় না।”

স্থানীয় এক ভ্যানচালক সোহাগ হোসেন বলেন, “রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ইট উঠে গেছে, বড় গর্ত আর কাদা জমে গেছে। গাড়ি চালানো এখন খুবই বিপজ্জনক।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি ভোগাস্তি পোহাচ্ছেন স্কুলগামী শিশু, গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগীরা। এমনকি কৃষিপণ্য পরিবহনেও দেখা দিচ্ছে চরম সমস্যা। কৃষকরা সময়মতো পণ্য বাজারে নিতে পারছেন না, ফলে ভ্যানচালকরাও নিচ্ছেন দ্বিগুণ ভাড়া।

সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হক বলেন, “এলাকাবাসীর অভিযোগ একেবারেই যৌক্তিক। দ্রত রাস্তাটি কার্পেটিং করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি।”

তেরখাদা উপজেলা প্রকৌশলী ভাস্কর মৃধা বলেন, “রামমাঝি থেকে আড়ফাঙ্গাসিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রসারণ ও পিচ ঢালাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধু আশ্বাস নয় চলতি বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই যেন সড়কের দৃশ্যমান সংস্কার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ১৫ বছরের অবহেলার অবসান ঘটিয়ে রামমাঝি আড়ফাঙ্গাসিয়া সড়কটি যেন আবারও সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠে এটাই এখন এলাকাবাসীর একমাত্র প্রত্যাশা।