মহিলা পরিষদ ও বহ্নিশিখা আয়োজিত বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তারা
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও বহ্নিশিখা আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় কমর্শালায় বক্তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারী ও শিশুরা। উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির অভাবে নারীদের বিশেষ করে বয়:সন্ধিকালীন মেয়েদের চরম শারিরীক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেক সময় পানির অভাবে ঋতুকালীন মেয়েরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা পিল খায়। এর ফলে তারা বন্ধ্যাত্ম, জরায়ু ক্যান্সারসহ নানান জটিল রোগে ভুগছে। এ থেকে মুক্তি পেতে এখনই স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। বক্তারা নারী অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবেলার আহবান জানান।
গতকাল শুক্রবার নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দু’দিনব্যাপী কর্মশালার আজ শনিবার দ্বিতীয় দিন।
কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে গতকাল শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও মহিলা পরিষদের সদস্য সিউতি সবুর, মহিলা পরিষদ খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অজন্তা দাস, আন্ত: প্রজন্মভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নারী আন্দোলন শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মেহনাজ রহমান, মহিলা পরিষদ খুলনা জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক আলমাস আরা, সহ-সম্পাদক এ্যাড. পপি ব্যানার্জী, লিগ্যাল এইড সম্পাদক এ্যাড: জাহানারা বেগম, সহ-সভাপতি উল্লাসিনী সরকার, আন্দোলন সম্পাদিকা নুরুন নাহার পলি প্রমুখ।
এছাড়াও খুলনার স্থানীয় বিভিন্ন এনজিওর পরিচালক/প্রতিনিধিসহ সচেতন নাগরিক সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ খুলনা শাখার প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ মো: আল-আমিন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং বহ্নিশিখার ‘আন্ত:প্রজন্মভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নারী আন্দোলন শক্তিশালী করি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভাগীয় পর্যায়ে নারী আন্দোলনের সক্ষমতা ও সংহতি বিষয়ক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
