খুলনা নগরীর ওয়েস্টার্ন ইন হোটেলের একটি কক্ষ থেকে শান্তা ইসলাম (৪২) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হোটেলের তৃতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শান্তা ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ‘আসমা’ নাম ব্যবহার করে উক্ত কক্ষটি ভাড়া নেন। তিনি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম আব্দুল খালেক।
পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, শান্তা ইসলাম ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। তার ব্যাগে পাওয়া একটি জন্ম সনদ থেকে একটি গৃহপরিচারিকা সাপ্লাই কোম্পানির ঠিকানা পাওয়া যায়, যেখান থেকে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
তিনি ঢাকায় মুর্শিদা নামের এক মহিলার বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান,
“শুক্রবার সকালে তিনি হোটেলের নিয়মিত নাস্তা গ্রহণ করেন। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রুম পরিষ্কার করার জন্য ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।”
পরে পুলিশ ও মহিলা পুলিশ সদস্যরা হোটেল কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন শান্তা ইসলামকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়।
পুলিশ ধারণা করছে, তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, শান্তা ইসলাম এর আগেও ঢাকাসহ বিভিন্ন হোটেলে ছদ্মনাম ব্যবহার করে অবস্থান করেছেন, এবং মাঝে মধ্যে হোটেল বিল পরিশোধ না করে ব্যাগ রেখে চলে যেতেন। এ ধরনের আচরণ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে সংকটাপন্ন ছিলেন।