/ খুলনায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার: পুলিশের ধারণা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

খুলনায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার: পুলিশের ধারণা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

খুলনা শহরের লবণচরা থানাধীন শিপইয়ার্ড এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ মে) ভোর ৫টার দিকে শিপইয়ার্ড মেইন গেটসংলগ্ন একটি বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ড।

লবণচরা থানা পুলিশ জানায়, মরদেহটি আনুমানিক ২৬-২৮ বছর বয়সী এক যুবকের। তার হাত ও পা বাঁধা ছিল এবং মাথা ও মুখমণ্ডল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ভোর রাতে কুকুরের চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি একটি লাশ পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখি হাত-পা বাঁধা এবং পলিথিনে মোড়ানো মুখ। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করি।”

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লবণচরা থানা পুলিশ। এরপর খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে।

লবণচরা থানার এসআই মো. জাকির হোসেন জানান, “মরদেহের পাশে কোনো পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। যুবকের পরণে ছিল নীল রঙের জিন্স প্যান্ট এবং সবুজ টি-শার্ট। তার পরিচয় শনাক্তে আশপাশের থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।”

এদিকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, এটি কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা না কি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের কাজ—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।