খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অস্থিরতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। মাত্র ১৮ দিন আগে দায়িত্ব নেওয়া এই প্রশাসনিক প্রধানের পদত্যাগের খবর বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিশ্চিত করেন কুয়েটের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া।
পদত্যাগের পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রকাশ্য অনাস্থা ও অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে গঠিত আন্দোলন। আজ সকালে উপাচার্যের পদত্যাগ, যোগ্য স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেন কুয়েটের শিক্ষকরা। এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও।
মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্বার বাংলা’ পাদদেশে, যেখানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম কাদের।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কুয়েটের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক নেতৃত্বের সংকট ঘনীভূত হয় এবং তা নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক হযরত আলী। কিন্তু তিনিও টিকলেন না শিক্ষক সমাজের অনাস্থা ও আন্দোলনের চাপের মুখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি—দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য, যোগ্য এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্ব নিয়োগ দিয়ে কুয়েটকে স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
