/ উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং ট্রলার বহর উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে

উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং ট্রলার বহর উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে

বারবার লোকসানের মুখে মৎস্যজীবিরা

শরণখোলা প্রতিনিধিঃ বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং বোটবহর মাছ ধরা বন্ধ রেখে দুদিন ধরে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে আছে। দীর্ঘ ৫৮ দিনের অবরোধ ১২ জুন শেষ হওয়ার পরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কয়েকদফা বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছে ফিশিংবোট বহর। দূর্যোগ যেন জেলেদের পিছু ছাড়ছেনা। মাছ ধরতে না পেরে জেলে মহাজনরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। আবহাওয়া বিভাগ ইতোমধ্যে ৩নং সতর্ক সংকেত জারি করেছে।

শরণখোলা উপজেলা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি সরোয়ার হোসেন জানান, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ ধরতে না পেরে দু’দিন যাবৎ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শত শত ফিশিংবোট নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। দীর্ঘ ৫৮ দিনের অবরোধ শেষে ১২ জুন তাদের ফিশিং বোটবহর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কয়েকদফা দুর্যোগের কবলে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে কয়েক’শ ফিশিং বোট মাছ ধরতে না পেরে মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রাসখিনা, পাথরঘাটা, কটকা, কচিখালীসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে জেলে ও ফিশিংবোট মালিকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জানান তিনি।

শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়ৎদার দেলোয়ার ফরাজী, মজিবর মেম্বর, মোঃ কবির বলেন, সাগরে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় ফিশিং বোটবহর সাগরে না গিয়ে ঘাটে নোঙর করে আছে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলে মহাজনরা এবার মহাসংকটে পড়েছেন। তারা জানান, প্রত্যেকটি বোট সাগরে পাঠাতে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়। সাগরে বর্তমানে মাছ পাওয়া যায়না। যে মাছ পাওয়া যায় তাতে খরচের টাকা ওঠেনা। তার উপরে ক্রমাগত বৈরী আবহাওয়া জেলেদের উপর যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা এর মতো মনে হচ্ছে বলে জানালেন কবীর আড়ৎদার।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাষ্টার বলেন, দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মাছ ধরতে না পেরে জেলেরা অর্থকষ্টে দিন পার করেছেন এবং হয়েছেন ঋণগ্রস্থ। অবরোধের পরে মাছ শিকারের আশায় বুক বেধে সাগরে গিয়ে জেলেরা তেমন মাছ পায়নি। মাছ ধরার অবৈধ ট্রলিংবোট সাগরে মাছের বংশ শেষ করে দিচ্ছে। এছাড়া এবারের অবরোধের পরে দুর্যোগ যেন জেলেদের পিছু ছাড়ছেনা। বার বার বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল সাগরে জাল ফেলতে না পেরে ফিশিং বোটবহর উপকূলে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানান তিনি।