/ উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ সৃষ্টি, সারাদেশে আবারও বর্ষণমুখর আবহাওয়া

উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ সৃষ্টি, সারাদেশে আবারও বর্ষণমুখর আবহাওয়া

সিলেট-চট্টগ্রামে ভূমি ধসের আশংকা, ডুবুডুবু দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য ঘের-পুকুর

আষাঢ় বিদায়ের শেষ দিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট স্থল নি¤œচাপের প্রভাবে উপকূলসহ দেশের সব এলাকায় আবারও টানা বর্ষণ শুরু হয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া বর্ষণমুখর। এ অবস্থা আরও দুদিন থাকতে পাওে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে প্রবল বর্ষণের কবলে পড়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকা। প্রবল বর্ষণে সেখানে ভূমি ধবসের আশংকা রয়েছে। অপরদিকে আষাঢ় মাস জুড়ে কমবেশি বর্ষণের কারণে দেশের উপকূলীয় খুলনাঞ্চলের হাজার হাজার মাছের ঘের ও পুকুর, খাল ও ডোবা এখন ডুবুডুবু অবস্থা। অনেক স্থানে ইতোমধ্যে ঘের ডুবে গেছে। ঘের মালিক ও চাষীরা আশংকা করছেন সামনে এখনও তিনমাস বর্ষণের সময় রয়েছে, ফলে এবারও ঘের ডুবে যেতে পারে।


এদিকে গতকাল বান্দরবনে দেশের সর্বোচ্চ ১৬০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। খুলনায় রেকর্ড হয় ৪৯মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি হ্্রাস পেতে পারে। আজও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে যমুনা ও পদ্মাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদনদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ফলে এবারআগাম ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশংকা রয়েছে।
খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের শতকরা ৭৫ভাগ ঘেরের বেড়িবাঁধ থেকে মাত্র এক থেকে দেড়ফুট নিচে রয়েছে পানির স্তর। অপরদিকে অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে খুলনার বিভিন্নসড়ক মহাসড়কের অনেক স্থানে ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। যাত্রীদেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে টানা দুই দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া ব্যাহতের পাশাপাশি পণ্য খালাস করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। দ্রæত পানি নিষ্কাশন না হলে এবং বৃষ্টির মাত্রা বাড়লে শেডের (গুদাম) মধ্যে পানি ঢুকে কোটি কোটি টাকার আমদানি করা পণ্যের ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। রোববার রাত থেকে ও সোমবার সারাদিন একনাগাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার।


বন্দরে গিয়ে দেখা গেছে, স্থলবন্দরের ৯, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর শেডে বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করছে। খোলা আকাশের নিচে যেসব মালামাল রাখা আছে, সেগুলো বৃষ্টির পানিতে ভাসছে। পাঁচ দিন আগের বৃষ্টির পানি রেলওয়ে মাটি কেটে বের করে দেওয়া হলেও সেখান থেকে আস্তে আস্তে পানি বের হচ্ছে। গোটা বন্দরের পানি নিচু জায়গায় জমে যাওয়ায় দ্রæত নিষ্কাশন হতে পারছে না।