/ উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: ঢাকাসহ তিন বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, উপকূলজুড়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: ঢাকাসহ তিন বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, উপকূলজুড়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের তিনটি বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে কোথাও কোথাও ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।এই অতি ভারী বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে অধিদপ্তর।

লঘুচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


এছাড়া সমুদ্র এলাকায় অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে।

নদী বন্দরেও সতর্কতা, ৬ জেলায় ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস

দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও নোয়াখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত এ সতর্কবার্তায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষজনকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নদী, খাল, বিল ও নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নগর এলাকায় জলাবদ্ধতা, যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন এবং নাগরিক দুর্ভোগ তৈরি হতে পারে।
উপকূলীয় গ্রাম ও চরাঞ্চলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
মাঠের ফসল ও ঘেরে চাষাবাদে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নিম্নাঞ্চলে।