রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ২৭ জনের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রাজধানীর দুটি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট একটি।
এখানে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভর্তি আছে ৪২ জন, এর মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক, অন্যরা শিশু। আইসিইউতে আছে ৫ জন, এদের মধ্যে কয়েকজন ভেন্টিলেশনে আছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৮ জন। সেখানে ইতিমধ্যে ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাইলটের মরদেহ মর্গে আছে। এ ছাড়া ৬টি মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি।
উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুটি দেহাবশেষ চিহ্নিত করতে হবে। ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি তিনজনের দুইজন আইসিইউতে আছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে একজনকে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যাওয়া ১০ জন হলো— তানভির (১৪), আফনান ফায়াজ (১৪), মাহরিন (৪৬), বাপ্পি (৯), মাসুকা (৩৭), এ বি শামীম (১৪), শায়ান ইউসুফ (১৪), অরিক্সন-১ (১৩), আরিয়ান (১৩) ও নাজিয়া (১৩)।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর মেডিক্যালের সঙ্গে সমঝোতা (এমওইউ) হয়েছে এই হাসপাতালের।জটিল রোগীদের বিষয়ে ওনাদের পরামর্শে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।